খেলাফত মজলিশের কেন্দ্রীয় মহা সচিব মামুনুল হক বলেছেন, ‘অন্তবর্তীকালীন সরকার শেখ হাসিনা ও তার সহযোগী দোসরদেরকে দেশে এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এতে কোনো প্রকার নমনীয় মনোভাব দেখালে এই সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।’ শনিবার সকাল ৯টায় বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী রেলওয়ে ময়দানে শাপলা চত্তরে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার প্রতিবাদে নোয়াখালী জেলা খেলাফত মজলিশ নোয়াখালী জেলা (উত্তর শাখা) উদ্যোগে গণসমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে এ কথাগুলো বলেন তিনি।মামুনুল হক বলেন, ‘ভারত তাদের কর্তৃত্ব ধরে রাখতে শেখ হাসিনার তামাশার সরকারকে ক্ষমতায় রেখে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি হাসিল করতে চেয়েছে। কিন্তু এদেশের স্বাধীনতাকামী ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ায় তাদের সেই স্বপ্ন ভেঙ্গে গেছে। এখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকার শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তাই সকল দলবল নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ থেকে এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে হবে। অন্যথায় নতুন স্বাধীনতার স্বপ্ন বিফলে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘অন্তবর্তীকালীন সরকার সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে যেভাবে নিষিদ্ধ করেছে আওয়ামীলীগকেও সেভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। যাতে তারা কোনভাবেই নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে। তাহলে বাংলার ১৮ কোটি মানুষের মনের আকাঙ্খা পূরণ হবে।’এ সভায় সভাপতিত্ব করেন খেলাফত মজলিশ নোয়াখালী জেলা (উত্তর শাখা) সভাপতি মাওলানা মোঃ সালাহ উদ্দিন। সমাবেশে প্রধান অতিথি দলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র নায়েবে আমীর আলহাজ¦ মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, বিশেষ অতিথি কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর আল্লামা খুরশিদ আলম কাসেমী।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মাওলানা জালাল উদ্দিন, মাওলানা তাফজ্জল হোসাইন মিয়াজি, মাওলানা আতিক উল্যা আমিন, মাওলানা ফয়সাল আহম্মদ, মাওলানা ইয়াকুব কাসেমী, মাওয়ালানা আবুল হাসনাত দালালী প্রমুখ।